WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now
YouTube Channel
Subscribe

স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের আদর্শ ব্যাখ্যা কর।

স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের আদর্শ ব্যাখ্যা কর।

Hello বন্ধুরা, আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র। বন্ধুরা আজকে আমি নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণীর ইতিহাসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে। আজকের প্রশ্ন হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের আদর্শ ব্যাখ্যা কর এটি মাধ্যমিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরটি আমার খুবই উপকার করেছে। তো বন্ধুরা তাই বলছি আপনারাও এই প্রশ্নের উত্তরটি অনুসরণ করুন অবশ্যই। যদি আপনার উত্তরটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি উত্তরটি সেভ করে রাখতে পারেন এবং বাকি বন্ধুদের share ও করতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Class 10 History
Class 10 History

ভূমিকা:

19th শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ধর্ম সংস্কার আন্দোলনে অদ্বৈতবাদে বিশ্বাসী, নিখাদ দেশপ্রেমিক, নির্ভীক যৌবনের প্রতীক, বেদান্তবাদী বিবেকানন্দের আদর্শ ছিল এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। অদ্বৈতবাদে বিশ্বাসী স্বামীজীর মতে “মানব সেবাই ধর্মের সর্বোচ্চ লক্ষ্য”

ধর্ম সংস্কার:

1. সাম্যবাদ ও মানবতাবাদের আদর্শ:- জাতপাতের ভেদাভেদের সম্পূর্ণ বিরোধী তার আদর্শ ছিল সাম্যবাদ। এই উদ্দেশ্যে তিনি দেশের কাছে আহ্বান জানান “হে ভারত ভুলিও না, নীচ জাতি, মূর্খ-দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই”। তিনি ধর্মের দ্বারা নয় মানুষের মনুষ্যত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। যার গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল মানবতাবাদ।

2. দরিদ্র সেবা:- ভারতের সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে তিনি দরিদ্র, অজ্ঞ ভারতবাসীর মধ্যে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। জীবের মধ্যে তিনি শিবকে অনুভব করে বলেন “যত্র জীব তত্র শিব”

3. নববেদান্তবাদ:- তিনি বনের বেদান্ত কে ঘরে আনার কথা প্রচার করেন। জনগণের কল্যাণে তিনি বেদান্তকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের নির্দেশ দেন। যা নববেদান্তবাদ নামে খ্যাত।

4. মানুষ গড়ার ধর্মতত্ত্ব:- বিবেকানন্দের ধর্ম ছিল মানুষ তৈরীর ধর্ম। সমকালীন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, ধর্মীয়, কুসংস্কার দূর করে প্রকৃত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে মানবতাবাদকে ধর্মের স্তরে উন্নীত করতে তিনি এই তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন।

5. প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সমন্বয়:- তিনি নবভারত গঠনের উদ্দেশ্যে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য, প্রাচীন ও আধুনিক ভারতের জীবনা দর্শনের সংমিশ্রনে এক নতুন ভারতবর্ষ গড়তে চেয়েছিলেন।

6. রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা:- জাতির ধর্ম ত্রাণকার্য, শিক্ষার প্রসার, সুচিকিৎসার প্রসার এবং প্রকৃত মানুষ গড়ার উদ্দেশ্যে 1897 খ্রিস্টাব্দের 5th may তিনি নরেন্দ্রপুরে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

7. যুব সমাজের প্রতি আহ্বান:- দুর্বলতা কাটিয়ে ভারতীয় যুবসমাজকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন- “ওঠো জাগো ও নিজের প্রাপ্য বুঝে নাও”

8. একত্বের অভিজ্ঞান:- স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, “জীবন একটি, জীবনকে শুধু একবার পাওয়া যায়, এবং এটি একবারই পাওয়া হলেই সব হয়ে যায়"। তার মতে, সকল জীবন একটি অদলবস্বরূপ, একত্ববাদী অনুভূতির অংশ। একত্বের প্রতি অভিজ্ঞান করা ও তার মাধ্যমে সমস্ত জীবনের সাথে একতা অনুভূতি করা সহজ হয়ে যায়।

9. আধ্যাত্মিক পরিপ্রেক্ষ্য:- বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের অন্যতম মৌল্য ছিল আধ্যাত্মিকতা, আত্মা বা দিব্যাত্মার উদ্দেশ্যে মানবজীবন পরিস্থান করা। আত্মা বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির সাথে একত্ব অর্জনের মাধ্যমে মানব জীবনকে উচ্চ উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।

10. সর্বদা উন্নত হওয়ার চেষ্টা:- সকল ক্ষেত্রে উন্নত হতে চাইলে মানুষকে সর্বদা আত্মবৃদ্ধি করতে চাইতে হবে এবং তার সকল অভিজ্ঞানগুলি একটি উচ্চতার দিকে নিয়ে যাওয়া উচিৎ।

11. সেবার ভাবনা:- সেবা এবং মানবিক যোগাযোগের মাধ্যমে দীর্ঘকালিন সমৃদ্ধি এবং শান্তি অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। সকল ক্ষেত্রে অপরকে সেবা করতে পারলেই মানবতা ও সমাজে একত্ব অর্জন হতে পারে।

উপসংহার:
স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারের আদর্শ মৌল্যগুলি একটি উন্নত এবং আধ্যাত্মিক জীবনদর্শন প্রদান করে, যা মানবতা এবং সমাজে উন্নতির দিকে পথ প্রদর্শন করে।




■ More Posts from -
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url