বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝো? এর বিভিন্ন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর।
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা
বিপর্যয়কে প্রশমিত করা, সামাল দেওয়া ও তার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়াকেই বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলা হয়।
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার কৌশল
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় মূলত তিন ধরনের কৌশল গ্রহণ করা হয় তাহল -
A. বিপর্যয় ঘটার পূর্বের পরিস্থিতি
কোন বিপর্যয় ঘটলে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কিভাবে কমানো যায়, এই পর্যায়ে যে ধরনের কার্যগুলিকে হাতে নেওয়া হয় যা প্রস্তুতিমূলক কাজকর্ম নামে পরিচিত সেগুলি হল -
1. ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চলের মানচিত্র প্রস্তুতকরণ।
2. বিপর্যয় সম্পর্কে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
3. ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি করার কাজ সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা।
4. বিপর্যয়ের সময় নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে তা চিহ্নিত করা।
5. আবহাওয়া সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করা।
6. উপগ্রহের মাধ্যমে, টেলিভিশন, রেডিও প্রভৃতি গণমাধ্যমের সাহায্যে সত্যতা যাচাই করা ইত্যাদি।
B. বিপর্যয় চলাকালীন পরিস্থিতি
বিপর্যয়গ্রস্থ ব্যক্তিদের চাহিদা প্রয়োজন গুলি যাতে ঠিকঠাক করে মিটে তার সুব্যবস্থা করা। এই পর্যায়ে যে ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা হয় তা হলো -
1. বিপদগ্রস্ত বা আটকে পড়া মানুষজনদের দ্রুত উদ্ধার করা।
2. প্রাথমিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।
3. দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া।
4. বিপদগ্রস্থ মানুষজনদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া।
C. বিপর্যয়ের পরবর্তী পরিস্থিতি
দ্রুত বিপর্যয়গ্রস্থ অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার যাতে আগের মতো বিপদে আবার পড়তে না হয় তার ব্যবস্থা করা। এই পর্যায়ে যে ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা হয় তাহল -
1. বিপদগ্রস্ত আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করা
2. যথেচ্ছ পরিমাণে ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা।
3. প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা।
4. নিখজ মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা।
5. আশ্রয়হারা মানুষের আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া।
6. অকেজো হয়ে যাওয়া রাস্তা, সেতু, টেলিফোন, বিদ্যুতের তার প্রভৃতি মেরামত করা।
7. বিপদগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন করা।