আঞ্চলিক মৃত্তিকা, আন্ত আঞ্চলিক মৃত্তিকা ও অনাঞ্চলিক মৃত্তিকা কাকে বলে? এদের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ দাও।
আঞ্চলিক মৃত্তিকা
আদি শিলার প্রভাব ছাড়াই কেবলমাত্র জলবায়ুর প্রভাবে বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে সৃষ্ট মাটিকে আঞ্চলিক মাটি বলে। এই আঞ্চলিক মাটির অধীনে ছটি উপক্রম আছে এবং এর অধীনে ২২ টি মানব গোষ্ঠী আছে।
আঞ্চলিক মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য
1. মাটির গঠন প্রক্রিয়া প্রধানত জলবায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
2. এই মাটির জলবায়ুর পরম্পরা দেখা যায় বলে একে ক্লাইমোসিকোয়েন্স বলে।
3. একই জলবায়ু এবং একই স্বাভাবিক উদ্ভিদ অঞ্চলে একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন আঞ্চলিক মৃত্তিকা গড়ে ওঠে।
4. মাটির স্তর গুলি পরিপূর্ণভাবে গড়ে ওঠে তবে স্তরের সংখ্যা ও প্রকৃতি স্থানীয় জলবায়ুর কারণে পৃথক হতে পারে।
উদাহরন : চারনোজেন, পডসল, ল্যাটেরাইট, কৃষ্ণ মৃত্তিকা, লালমাটি
আন্ত আঞ্চলিক মৃত্তিকা
প্রত্যেক আঞ্চলিক মাটিতে ভূপ্রকৃতি, আদি শিলা, অনু জলবায়ু প্রভৃতি উপাদানের তারতম্য ঘটে। এইসব উপাদান মাটিতে প্রতিফলিত হওয়ার ফলে মাটি নতুন করে গড়ে ওঠে, এই ধরনের মাটিকে আন্ত আঞ্চলিক মাটি বলে।
আন্ত আঞ্চলিক মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য
1. আঞ্চলিক মাটিতে এই শ্রেণীর মাটি গড়ে ওঠে।
2. স্থানীয়ভাবে ভূপ্রকৃতি আদ্রতা বাষ্পীভবন হল এই মাটি গঠনের প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান।
উদাহরণ : পিট বা বর্গ মৃত্তিকা, রেনজিনা
অনাঞ্চলিক মৃত্তিকা
মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়া প্রভাব মুক্ত অঞ্চলের মৃত্তিকা জলবায়ু, হিমবাহ দ্বারা বাহিত হয়ে অনাঞ্চলিক মৃত্তিকা গঠিত হয়।
অনাঞ্চলিক মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য
১. এই মাটি বেশিরভাগ কঙ্কালসার মাটিতে দেখা যায়।
২. এই মৃত্তিকা অপরিণত ও স্তরবিহীন।
উদাহরণ : পলিমাটি