ভূমির পূনর্যৌবন লাভের ফলে গঠিত ভূমিরূপের বর্ণনা করো।
উপত্যকার মধ্যে উপত্যকা:
পূনর্যৌবন লাভের ফলে পুরনো প্রশস্থ উপত্যকার মধ্যে সংকীর্ণ খাড়া ঢালু যে নতুন উপত্যকার সৃষ্টি হয় তাকে উপত্যকার মধ্যে উপত্যকা বা দিচক্র উপত্যকা বলে।
বৈশিষ্ট্য :
১. নতুন পুরনো সংযোগস্থলে স্কন্ধ ভূমি সৃষ্টি হয়।
২. সংকীর্ণ গভীর খাড়া ঢালু উপত্যকা টি দ্বিতীয় ক্ষয় চক্রকে চিহ্নিত করে।
উদাহরন :
কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন অঞ্চলে দেখা যায়।
নদী মঞ্চ :
পুরনো উপত্যকা ও নতুন উপত্যকার যখন পাশাপাশি সিড়ি বা ধাপের ন্যায় অবস্থান করে তখন তাকে নদী মঞ্চ বলে।
প্রকারভেদ :
এগুলি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে -
A. পলল নদী মঞ্চ
B. প্রস্থর নদী মঞ্চ
C. যুগল নদী মঞ্চ
D. অযুগল নদী মঞ্চ
বৈশিষ্ট্য :
১. এগুলি একাধিক ক্ষয় চক্রকে নির্দেশ করে
২. নদীর দুপাশে সিড়ির ন্যায় অবস্থান করে।
উদাহরন :
গঙ্গা, ব্রম্ভপূত্র প্রভৃতি নদীতে দেখা যায়।
নিক বিন্দু :
পূনর্যৌবন লাভের ফলে নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর যে বিন্দুতে ঊর্ধ্ব উপত্যকার মৃদু ঢালের সঙ্গে নিম্ন উপত্যকার নতুন খাড়া ঢালের সংযোগ ঘটে তাকে নিক পয়েন্ট বলে।
বৈশিষ্ট্য :
১. এক্ষেত্রে নদীতে এক নতুন ঢালের সৃষ্টি হয়।
২. নতুন ঢাল পুরনো ঢাল অপেক্ষা উচু হয়।
৩. নিক বিন্দুতে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
উদাহরন :
সুবর্ণরেখা নদীতে হ্নড্রু জলপ্রপাত
কর্তিত নদীবাক:
নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর পূনর্যৌবনের ফলে নদীর নিম্ন ক্ষয় বৃদ্ধি পেয়ে বাঁক অবস্থায় কেটে নিচে বসে যায়। একে কর্তিত নদী বাঁক বলে।
বৈশিষ্ট্য :
১. এটি থেকে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ তৈরি হয়।
২. এর দুপাশে সমান খাড়া আবদ্ধ থাকে।
উদাহরন :
ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের নদীতে দেখা যায়।
উত্থিত সমুদ্র সৈকত ও সমুদ্র মঞ্চ :
পূনর্যৌবনের ফলে উপকুলভাগ উত্থিত হলে বা সমুদ্রতলের পতন হলে এইরূপ ভূমির সৃষ্টি হয়।
মঞ্চের উচ্চতা 50 মিটারের কম হলে তাকে উত্থিত সমুদ্র সৈকত ও 50 মিটারের বেশি হলে তাকে সমুদ্র মঞ্চ বলে ।
উদাহরন :
গ্রেট ব্রিটেনের দক্ষিণ ও পশ্চিম উপকূলে দেখা যায়।