সামুদ্রিক ক্ষয়ের প্রক্রিয়া গুলি আলোচনা করো।
সমুদ্র তরঙ্গ উপকূলকে নিম্নলিখিত উপায়ে ক্ষয় করে -
1. জলপ্রবাহ জনিত ক্ষয় :
প্রবাহিত জলের গতির সাহায্যে উপকূলের শিলা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়। সমুদ্রস্রোত প্রতি বর্গসেমিতে 50 কেজি আঘাত দেয়।
2. অবঘর্ষ ক্ষয় :
উপকূলে বা তটভূমিতে তরঙ্গবাহিত শিলাখন্ডের সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের ঘর্ষনের সঙ্গে শিলা ক্ষয় হয়।
3. ঘর্ষণ ক্ষয় :
তরঙ্গ বাহিত শিলাখন্ড পারস্পরিক সংঘর্ষে প্রথমে ছোট শিলা ও পরে বালিতে পরিণত হয়।
4. দ্রবণ ক্ষয় : CaCo3+H2O+Co2 --> Ca(HCo3)²
চুনাপাথর, চক, ডলোমাইট প্রভৃতি খনিজ জলের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উপকূল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
5. অভিঘাত চাপ :
সোয়াশ এর জলরাশি উপকূলের ফাটলের মধ্যে আবদ্ধ বায়ুকে সংকুচিত করে দেওয়ালে চাপ দেয় এবং তরঙ্গ সরে গেলে তৎক্ষণাৎ প্রসারিত হয়, এর ফলে শিলা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়।
6. ক্ল্যাপোটিস :
খাড়াই ও গভীর উপকূলে সোয়াশ* ও ব্যাকওয়াশ* একই জায়গা থেকে ওঠানামা করায় এক নতুন ধরনের তরঙ্গ সৃষ্টি করে, তাকে ক্ল্যাপোটিস বলে।
*সোয়াশ :
সমুদ্রস্রোত গভীর সমুদ্র থেকে এসে অগভীর উপকূলে আছড়ে পড়লে তাকে সোয়াশ বলে।
*ব্যাকওয়াশ :
সমুদ্র তরঙ্গ সমুদ্রতটে আছড়ে পড়ার পর আবার তটভূমি বরাবর সমুদ্রে ফিরে যায়, একে পশ্চাদগামী তরঙ্গ বা ব্যাকওয়াশ বলে।