বাংলা কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কথাসাহিত্যে ত্রয়ী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত অতসীমামী গল্পের মধ্য দিয়েই বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর আবির্ভাব।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস জননী। তার অন্যান্য উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝি, দিবারাত্রির কাব্য, পুতুল নাচের ইতিকথা, হলুদ নদী ইত্যাদি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝি ও পুতুল নাচের ইতিকথা। বাংলা সাহিত্যে পদ্মা নদীর মাঝি অন্যতম আঞ্চলিক উপন্যাস। পদ্মা তীরবর্তী মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা কামনা বাসনা এসব নিয়েই রচিত পদ্মা নদীর মাঝি। মানব চরিত্রের কামনা-বাসনার গুড়তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। পুতুল নাচের ইতিকথায় তার মার্কসীয় চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে শহরতলী উপন্যাসে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প সংকলন গুলি হল অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প প্রাগৈতিহাসিক, সরীসৃপ, আজ কাল পরশুর গল্প, হলুদ পোড়া।
তাঁর প্রতিভার পূর্ণ প্রতিফলন পাওয়া যায় প্রাগৈতিহাসিক গল্পে। সভ্যতার মুখোশ খুলে তার বিকৃত রূপটিকে চিহ্নিত করেছেন সরীসৃপ গল্প। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তেভাগা আন্দোলন কে নিয়ে তার গল্প হারানোর নাতজামাই ও ছোট গকুলপুরের যাত্রী। যাইহোক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর রচনা মার্কসীয় চেতনার সাথে সাথে যৌনতা, মনোবিকার জটিল মনস্তত্ত্বকে খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলা কথাসাহিত্যের সমৃদ্ধিতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।