রবীন্দ্রনাথের গুরু নাটকের অচলায়তনের এক শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বালকের উদ্দেশ্যে উক্তিটি করেছেন পঞ্চক। এখানে মহাময়ূরী দেবীর রাগের কথা বলা হয়েছে।
অচলায়তন এমন এক আয়তন যেখানে যুগ যুগ ধরে চলে আসা সংস্কার গুলোকে অচলায়তনবাসি প্রশ্নহীনভাবে মেনে চলে। যুক্তি তর্ক ও মননের মাপকাঠিতে সেগুলির সত্যাসত্য যাচাই করে না। কিন্তু পঞ্চক প্রচলিত সংস্কার গুলিকে যুক্তি-বুদ্ধির আলোকে যাচাই না করে মেনে নেয় না। শুধু তাই নয় অচলায়তনের অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও এই সারহীন সংস্কারাচ্ছন্ন বিধিবিধানে বিরোধী হয়ে উঠতে প্রেরণা দিয়েছে।
গত মাসের শনিবারে ছিল মহাময়ূরী দেবীর পুজো। সেদিন পঞ্চক কাঁসার থালায় ইঁদুরের গর্তের মাটি রেখে তার উপর পাঁচটি শিয়ালকাঁটার পাতা আর তিনটি মাসকলাই সাজিয়ে নিজেই 18 বার ফু দেয়। অচলায়তনের বিশ্বাস অনুযায়ী এই কাজের ফলে মহাময়ূরী দেবী ভয়ঙ্কর ক্ষুব্দ হবেন এবং তিনদিনের দিন এক বিষধর সাপ তাকে দংশন করবে। কিন্তু পঞ্চক এই নিষিদ্ধ প্রথা উপেক্ষা করে কাজটি করেছে তবুও তার কোনরূপ ক্ষতি হয়নি।