রূপগত, ধ্বনিগত ও বাক্যরীতিগত দিক থেকে সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য লেখ ।
পার্থক্যের বিষয় | সাধু ভাষা | চলিত ভাষা |
---|---|---|
i. ধ্বনিগত পার্থক্য | 1. সাধু ভাষায় কখনো কখনো অপিনিহিতির প্রয়োগ দেখা যায়। যেমন - করিয়া -> কইরা |
1. চলিত ভাষায় কখনোই অপিনিহিতির প্রয়োগ দেখা যায় না। পরিবর্তে অভিশ্রুতি ও স্বরসঙ্গতির ব্যবহার দেখা যায়। যেমন - করিয়া -> কইরা -> করে |
1. সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ গুলো দীর্ঘ হয়। করিয়াছিল -> করেছিল |
1. চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ গুলো সংক্ষিপ্ত হয়। |
|
2. সাধু ভাষায় সর্বনামের দীর্ঘরূপ দেখা যায়। তাহার -> তার |
2. চলিত ভাষায় সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ দেখা যায় না। | |
ii. রূপগত পার্থক্য | 3. তৎসম শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। মস্তক -> মাথা |
3. চলিত ভাষায় তদ্ভব শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। |
4. সাধু ভাষায় যৌগিক ক্রিয়ার ব্যবহার দেখা যায়। |
4. চলিত ভাষায় একক সরল ক্রিয়ার ব্যবহার দেখা যায়। | |
5. সাধু ভাষায় প্রাচীন অনুসর্গের ব্যবহার দেখা যায়। নিমিত্ত -> জন্য |
5. চলিত ভাষায় অনুসর্গ হিসাবে নতুন শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। | |
1. সাধু ভাষায় কর্তা, কর্ম ক্রিয়া এই বিন্যাস সুদৃড়। যেমন -> তিনি গ্রন্থ পাঠ করিতেছেন |
1. কিন্তু চলিত ভাষায় এই বিন্যাস সুদৃড় নয় বরং অনেকটা নমনীয়। যেমন - রবীন্দ্রনাথ পূর্ণতার পুজারি ছিলেন |
|
Iii. বাক্যরীতি গত পার্থক্য | 2. এই ভাষায় অলংকার এর ব্যবহার দেখা যায়। যেমন -> পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি |
2. এই ভাষায় অলংকারের ব্যবহার দেখা যায় না। |
3. সাধুভাষা বিলম্বিত লয় যুক্ত, গুরুগম্ভীর। উদা - ক্ষান্ত করো অতীতের গৌরবের কথা |
3. কিন্তু চলিত ভাষার লয় দ্রুত সহজ সরল ও বোধগম্য। উদা - বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান |