সাম্প্রতিকালে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা কেন?
ভূমিকা:
আগে রাজাবলী ও রাজ কাহিনী থেকে ইতিহাসের বিষয়বস্তু সংগৃহীত হতো সমাজে সাধারন শ্রেণীর মানুষের থেকে নয়।মিশেল ফুকো তার গ্রন্থে সমাজে সাধারন মানুষের অস্তিত্বের বিষয়টিকে প্রথম তুলে ধরেন ।কাল মার্কস তার “Dus capital"গ্রন্থে সমাজে ধনীদের বিরুদ্ধে শোষিত সংখ্যাগরিষ্ট সাধারণ মানুষের শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন।
সময়কাল:
সাধারণভাবে নতুন সামাজিক হয় ইতিহাস চর্চা শুরু হয় ১৯৬০-৭০ দশক থেকে। মার্কস ব্লক ,লাসিয়েল, লাদুরি, ব্রাদেল, প্রমুখের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত অন্যাল স্কুল গোষ্ঠী প্রথম ইতিহাস চর্চার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সামাজিক ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা:
(১) ইতিহাসের আলোচনায় শুধু রাজা, অভিজাত বা উচ্চবর্গীয় দের দৃষ্টিকোণে ইতিহাস চর্চা না করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নানা স্তরের মানুষের আর্থ _ রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বৌদ্ধিক ইতিহাস চর্চা ও তার ইতিবৃত্ত সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা।
(২) নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চায় স্থান পেয়েছে শ্রমিকদের নানাদিক কৃতদাস প্রথা, দাস সমাজ ইত্যাদি যা ইতিহাস রচনার ধারার পরিবর্তন ঘটায়।
(৩) নতুন ইতিহাস চর্চায় শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাঙ্গ জাতির ব্যবধান, শ্রেণি লিঙ্গ ,ধর্ম সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান লাভ।
(৪) নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চায় নিম্নবর্গীয়দের কার্যকলাপ কিভাবে সমাজে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে তা দৃষ্টান্ত ড:রনজিত গুহ ,ড:পার্থ চ্যাটার্জি, গৌতম ভদ্র, জ্ঞান পাণ্ডে প্রমুখের ইতিহাস চর্চায় উল্লেখ রয়েছে।
মূল্যায়ন:
সুতরাং নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে মানব সমাজের সকল স্তরের মানুষের চর্চা সব ইতিহাসের বিষয়বস্তু হিসাবে চিহ্নিত। তাই সমাজে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।