মহেন্দ্রলাল সরকার কেন স্মরণীয়?
ভূমিকা:
ভারতে আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক ছিলেন মহেন্দ্রলাল সরকার। বিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে ডক্টর সরকার ও তার IACS এর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
জীবনী:
১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে ১১ নভেম্বর হাওড়ার পাইকপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও জেদ, অধ্যবসায়, ও চারিত্রিক দিরতায় তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছায়।
চিকিৎসা জীবন:
সর্বপ্রথম তিনি হোমিওপ্যাথিতে শিক্ষা শুরু করলেও একে হাতুড়ি ডাক্তার শিক্ষা হিসাবে গণ্য করে তা তিনি ত্যাগ করেন। এরপর কলকাতা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা গ্রহণের সূত্রে তিনি একজন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক হন। কিন্তু Philajoti of homeopathy পড়ার পর আবার তার জীবনের মোড় ঘুরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ওপর। মানবসেবা কল্যাণের জন্য শুরু করেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও ঔষধ তৈরি। ক্যালকাটা জার্নাল পত্রিকাতে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার গুনাগুন লেখালেখি শুরু করেন এবং বিখ্যাত ডাক্তারে তিনি পরিণত হন।
IACS প্রতিষ্ঠা:
মহেন্দ্রলাল সরকারের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল বিজ্ঞানের অধ্যাপক ফাদার ইউজিন।
Indian Association Cultivation of Scince(IACS) বা ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞান সভা প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন এই IAFS এর সম্পাদক।
বিজ্ঞান চর্চা ও অধিকর্তা:
IACS এর বিজ্ঞানচিন্তার কাজকে তরুণ প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে একদল খ্যাত নাম বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়ে আসেন এবং তাদের বক্তব্য গুলো জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণার মাধ্যমে রমন ইফেক্ট আবিষ্কার করার শর্তে তিনি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করে। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে অধিকর্তার পদ চালু হলেই নীলরতন সরকার, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, মেঘনাথ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, এই পদে যোগ দিয়ে বিজ্ঞান চর্চার বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে যায়।
মূল্যায়ন:
সুতরাং বলা বাহুল্য যে, তিনি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারক না হলেও এবং কোন মৌলিক গবেষণায় তার খ্যাতি না থাকলেও এদেশে বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ও IACS প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তিনি এদেশে বিজ্ঞান চর্চার আদি গুরু বলে সুখ্যাত এবং চিরকাল সকল বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের কাছে নমস্য হয়ে থাকবেন।
নিচের প্রশ্নগুলো দেখতে পারেন :