ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা লেখ।

ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা লেখ।


ভূমিকা: 

ভারতের প্রথম যুক্তিবাদী ও মানবতা বাদী তথা নবজাগরণের প্রাণপুরুষ ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে তার উদ্যোগ গুলি নিম্নলিখিত_____

(১) অ্যাংলো হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা: 
১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতার হেদুয়ার কাছে সুরিপারা নিজে একটি ইংরেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে এই স্কুলটি অ্যাংলো হিন্দু স্কুল নামে নামাঙ্কিত হয়। আরো পরে এই স্কুলটি ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি তে পরিণত হয়।

(২) হিন্দু কলেজ:
 ডেভিড হেয়ার, রাধাকান্ত দেব, বৈদ্যনাথ মুখার্জি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এডওয়ার্ড হাইড ইস্ট প্রমুখের উদ্যোগে রাজা রামমোহন সচেষ্ট সহায়তায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় (১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে)।

(৩) বেদান্ত কলেজ

রাজা রামমোহন রায়ের শিক্ষা বিস্তারের কাজে অন্যতম ও সাহায্যকারী ছিলেন ডেভিড হেয়ার । তার সহযোগিতায় পাশ্চাত্য শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিষয় পঠন পাঠনের জন্য তিনি বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন (১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে)।

(৪) জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা:
 স্কটিশ মিশনারি আলেকজান্ডার দাও জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে রাজা রামমোহন রায় তাকে সহযোগিতা করে।

(৫) স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা সাহায্য:
 ডেভিড হেয়ার কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে তিনি সক্রিয়ভাবে তাকে সাহায্য করেন। এবং স্কুল বুক সোসাইটির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

(৬) লর্ড আমহার্স্ট কে চিঠি
ইংরেজ সরকার ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করলে তিনি এই সময় লর্ড আমহার্স্টকে একটি চিঠি দিয়ে এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ভারতবাসীর জন্য পাশ্চাত্য গণিত, রসায়ন, দর্শন, ইংরেজি ভাষাবিদ্যা প্রভৃতি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মূল্যায়ন: সুতরাং বলা সংগত হবে যে ,ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগ ও কর্মসূচি তার হিতবাদী কার্যকলাপের জন্য রাজা রামমোহন রায় নব ভারতের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত হন।

অন্যান্য পোস্টগুলি :

Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।