খাদ্যাভাসের ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা লেখ? | দশম শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্নোত্তর

খাদ্যাভাসের ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা লেখ? | Class 10 History


 ভূমিকা:
        মানব সভ্যতার বিবর্তন ও অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন ঘটে এবং খাদ্যের বৈচিত্র দেখা যায়। জিওফ্রে পিলছার তার ‘Oxford hand book of food histry'গ্রন্থে খাদ্যাভাসের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেছেন। ব্লু দে ব্ ও মার্ক ব্লক প্রমুখ অতীত সমাজ জীবনে অনুসন্ধানে খাদ্যাভাসের গুরুত্ব তুলে ধরে।

খাদ্যের বিবরণ:
           প্রন্ত তাত্ত্বিক উপাদান গ্রিক ও রোমান লেখকদের বিবরণে ও ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্য থেকে ভারতের আমিষ,নিরামিষ, তিক্ত, কসা, অম্ল, মধুর প্রভৃতি জাতীয় খাদ্যের বিবরণ পাওয়া যায়। আবার বৈষ্ণব সাহিত্যে ফলাহার এর উল্লেখ রয়েছে।

 খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের কারণ:
 
 (১) জলবায়ু ও ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে খাদ্যাভাসের তারতম্য হয়।
 (২) মানুষের রুচিশীলতা ও সমর্তথা।
 (৩) ঔপনিবেশিক শাসনে শাসক ও সাসীদের খাদ্যের ব্যবহার খাদ্যাভাসের ব্যবধান ঘটায়।
     
 সমাজ জীবনে পরিবর্তনের ধারণা:
     
   উপনিবেশিক দের আগমনে আমাদের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন ঘটে। যেমন পর্তুগিজরাভারতে আতা, আনারস, কাজু ও আলুর প্রচলন ঘটায়। আবার ওলন্দাজরা রান্নাঘর সংলগ্ন বাগানে ধারণা আমদানি করে।

  বাণিজ্যিক ধারণা:
     ইউরোপীয়রা আমাদের দেশকে মসলার দ্বীপ বলতো। এই মসলা সংগ্রহের লোভে তারা এদেশে এসে বাণিজ্যিক কর্ম করতে শুরু করে। তাই বাণিজ্যিক ধারণা বুঝতে খাদ্যের ইতিহাস চর্চা অত্যন্ত জরুরী।

 আঞ্চলিক ইতিহাসের ধারণা:
        আধুনিক গবেষকদের মতে মানুষের খাদ্যাভাস আঞ্চলিক ইতিহাসের ধারণা দেয়। যেমন: চন্দননগরের সন্দেশ, নবদ্বীপের দই, বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, জয়নগরের মোয়া।

   খাদ্য ও জাতীয়তাবাদ:
       উপনিবেশিক শাসনকালে ইংরেজরা ভারতীয় কর্মীও সিপাহীদের নিম্নমানের খাদ্য পরিবেশন করা সূত্রে সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী দানা বাঁধে ১৮৫৭-১৯৪৬ এর বিদ্রোহী।

   মূল্যায়ন:
     সুতরাং খাদ্যাভাসের ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের গতি কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে এবং রুচিশীলতা সূত্রে ইতিহাসের গতি প্রভাবিত হওয়ার ধারণা পাওয়া যায়।

আরো জানুন :

Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।