শিল্পচর্চার ইতিহাস সম্পর্কে লিখ ।

শিল্পচর্চার ইতিহাস সম্পর্কে লিখ ।


ভূমিকা: 
অভিধানিক অর্থ কোন বস্তু নির্মাণকর্মী নৈপুণ্য বা দক্ষতাকে শিল্প বলে। এই অর্থে সংগীত ,নাটক ,চলচ্চিত্র, নিত্য প্রভৃতি শিল্পের পর্যায়ভুক্ত। এই শিল্প গুলি মানুষের দর্শনেন্দ্রিয় কে শুধু তৃপ্ত করে না, মানুষের কাছে এক নতুন বার্তা পৌঁছে দেয়।

সঙ্গীত: 
সঙ্গীত বলতে সাধারণত কন্ঠ সংগীত কে বোঝায় । সুতাল গানের অন্যতম লক্ষণ। সংগীতের মধ্য দিয়ে সামাজিক ভাবনা ও জাতীয় চেতনার প্রকাশ ঘটে। উপনিবেশিক ভারতের সংগীত জাতীয় ঐক্য ও চেতনা গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

        সুফি ও ভক্তি সংগীত মধ্যযুগের ধর্মীয় ইতিহাসের ধারণা দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা গানের নতুন যুগের প্রবর্তক। তার কথা ও সুর অভিনব রহস্য মমতায় পূর্ণ। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে রাগ সংগীতের প্রভাব যেমন তেমনি বাউল ,কীর্তন, ভাটিয়ালি গানের সুরের প্রভাব মনোতৃপ্ত করে।

নিত্য:
 প্রাচীনকাল থেকে নৃত্যকলা প্রচলিত থাকলেও তাকে মর্যাদার আসনে বসিয়ে ছিল রবি ঠাকুর ও উদয় শংকর। ভারতে প্রচলিত নৃত্যকলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কুচিপুড়ি ,ভারতনাট্যম, উড়িসি, ছৌ, রবিন্দ্র নিত্ত ,মনিপুরী, কথাকলি প্রভৃতি। নিত্য গুলির প্রধান লক্ষ্য ছিল নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করা।

নাটক: 
জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রসারে নাটকের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিভিন্ন নাটকের দৃশ্য মঞ্চস্থ করার মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এর শোষণ অত্যাচার ও উৎপীড়নের কাহিনী সকলের কাছে প্রকাশ করা হতো। নীলদর্পণ নাটক ছিল তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ।

চলচ্চিত্র:
 চলচ্চিত্র হল সমাজের দর্পণ। ভারতের চলচ্চিত্র শিল্পের জনক হীরালাল সেন ও দাদাসাহেব ফালকে। রাজা হরিশচন্দ্র ছিলেন ভারতের প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র এবং প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ছিলেন জামাইষষ্ঠী। ভারতের চলচ্চিত্র কে যারা বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ।

মূল্যায়ন
সুতরাং শিল্পকলার চর্চার মধ্য দিয়ে সেই দেশের জনগণের সভ্যতার উন্নত ও অবনত দিকের পরিচয় পাওয়া যায়, ব্যক্তির গুণ ও পারদর্শিতার ক্ষেত্রে শিল্পকলায় চর্চা উল্লেখযোগ্য।

আরো জানুন :

Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।