ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব বলতে কী বোঝো?
ভূমিকা: ভারতের ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা পর্বে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারে কোম্পানি সরকারের অনীহা ছিল। কিন্তু খ্রিস্টান মিশনারীদের শিক্ষা বিস্তারে কার্যকলাপ কোম্পানির সরকারকে ভারতের শিক্ষা বিস্তারে সচেষ্ট করে তুলে।
১৮১৩ চাটার আইন:
চাটার আইন এর দ্বারা সরকার প্রথম শিক্ষা খাতে এক লক্ষ টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কোন ধরনের শিক্ষা প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সুশিক্ষা প্রবর্তিত হবে তা নিয়ে সরকার দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল।
জনশিক্ষা কমিটির উদ্যোগ:
ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার ঘটনোর জন্য জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির উদ্যোগে ভারতের শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে সঠিক দিক নির্ধারণ এর জন্য পাঁচ জন নিয়ে প্রাচ্য কমিটি উপ কমিটি গঠিত হয়।
প্রাচ্যবাদী মত:
স্যার উইলিয়াম জোন্স, লর্ড ওয়েলেসলি প্রমুখের ভারতের প্রাচ্য শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
প্রাশ্চাত্য বাদী মত:
চার্লস গ্রান্ট, লর্ড আলেকজান্ডার দাও প্রমুখ হিতবাদী ইংরেজ ভারতে পাশ্চাত্য বাদী বিস্তারিত প্রকাশ করেন। তাদের দৃষ্টিতে পাশ্চাত্য শিক্ষা পদ্ধতি ও সমাজ সংস্কার সাধন করবে এবং ভারতীয়দের নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন ঘটবে। রাজা রামমোহন রায় ও তৎকালীন বড়লাট লর্ড আমহার্স্ট কে চিঠি লিখে ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে দাবি জানান।
মেকলে মিনিট:
public Instruction commitee সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে যৌক্তিকতা পেশ করেন যা মেকলে মিনিট নামে পরিচিত। মেকলে মিনিট এর জয় হল প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটল সরকার ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা কার্যকরী করল।
মূল্যায়ন: সুতরাং পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ফলে ভারতীয়দের মধ্যে আধুনিক জ্ঞান লাভের প্রদীপ জ্বলে উঠলো এবং এই শিক্ষা উচ্চবিত্ত সম্প্রদায় থেকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সূত্রে ভারতীয় সমাজে এক জাগরন দেখা দিলো
অন্যান্য প্রশ্নগুলি :