“এখন থেকে তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে "- কারা পরস্পর বন্ধু হয়েছে? এখানে বন্ধুত্বের কারণ কি? ধীবর কিভাবে রাজ শালকের বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছিল তা নিজের ভাষায় লেখ।
মহাকবি কালিদাসের “ধীবর-বৃত্তান্ত" নাট্যাংশ নগর রক্ষায় নিযুক্ত রয়েছেন এবং চোর সন্দেহে ধৃত ধীবর পরস্পর পরস্পরের বন্ধু হয়েছে।
নগর রক্ষা নিযুক্ত রাজ শ্যালক ও চোর সন্দেহে ধৃত ধীবর এর সম্পর্ক ছিল আইন রক্ষক ও অপরাধের স্বাভাবিকভাবেই ধিবরের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেছে রাজ শ্যালক।
“তা তোর জীবিকা বেস্ পবিত্র বলতে হয় দেখছি"
রক্ষিদয়ও তাকে নানা রকম কটুক্তি করতে থাকে। ধীবর কে শাস্তি দেবার পূর্বে তার আংটি পাওয়ার ব্যাপারে মহারাজা কে পূর্বাপর সব জানানো হয়। আংটি দেখে রাজার পূর্ব স্মৃতি মনে পড়ে যায়। এতক্ষণ যাকে রাজ শ্যালক চোর ভেবেছিলেন সে মানুষটি চোর নয়, এক সত্যবাদী সৎ নাগরিক। শুধু তাই নয় ধীবরের আত্মমর্যাদাবোধ, নিজের পেশার প্রতি শ্রদ্ধা রাজশ্যালক কে মুগ্ধ করেছে। প্রবল রাজশক্তির সামনে ভেঙ্গে না পড়ে সত্য প্রকাশ করতে চেয়েছে।
“ আপনারা শান্ত হোন আমি এরকম কাজ অর্থাৎ চুরি করিনি"
মহারাজা তার সততায় মুগ্ধ হয়ে তাকে যে পারিতোষিক দিয়েছিলেন তার অর্ধেক রক্ষিদের দিয়েছে। ধীবরের সত্যি অবিচল থাকা, নির্ভীকতা, আত্মমর্যাদাবোধ ও উদার মানসিকতা এই গুণগুলো রাজ শ্যালক কে মুগ্ধ ও তুষ্ট করেছিল। তাছাড়া রাজা আংটির মাধ্যমে শকুন্তলার স্মৃতি ফিরে পাওয়ায় ধীবর প্রতি কৃতজ্ঞ। এইসব কারণে ধীবর রাজ শ্যালকের কাছে বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছে।