প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার শিল্প সংস্কৃতি আলোচনা করো
আজ থেকে প্রায় 5000 বছর আগে মিশরীয় প্রাচীন সভ্যতার উদ্ভব ঘটেছিল। বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতা গুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা হল মিশরীয় সভ্যতা। এই সভ্যতার প্রাচীন কাল থেকেই শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মিশরীয় সভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছায়।
মিশরীয় সভ্যতার শিল্প সংস্কৃতি আলোচনা
- স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে প্রাচীন মিশর যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটেছিল। তাদের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল অসংখ্য পিরামিড, এছাড়াও বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির তাদের কাছে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কীর্তি ছিল।
- চিত্রকলা
মিশরীয় সভ্যতা চিত্রশিল্পীর যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটিয়েছিল। এরা ঘরের দেওয়ালে, প্রাচীরে রাজপরিবারের বিভিন্ন ছবি আঁকতো। এছাড়াও মন্দিরের দেয়ালে অনুজ্জ্বল রং দিয়ে ছবি আঁকতেন।
- শিক্ষা
প্রাচীন মিশরে বিনা অর্থে লেখাপড়ার ব্যবস্থা ছিল। যাদের যোগ্যতা থাকতো কেবল মাত্র তারাই বিদ্যালয়ে আসতে পারতো। মিশরের প্রধানত উচ্চ শ্রেণীর মধ্যে বিদ্যাচর্চার প্রচলন ছিল নিম্নশ্রেণির পরিবারের ছেলেরা বিদ্যালয় খুবই কম আসতো।
- লিপি
প্রাচীন মিশরের মানুষ বিভিন্ন চিত্র যুক্ত অক্ষরের সাহায্যে নিজেদের মনের কথা লিখে রাখত এই চিত্রলিপি হায়ারোগ্লিফিক লিপি নামে পরিচিত। মিশরের মানুষ নলখাগড়া এতে বিভিন্ন চিঠি পত্র, লেখা বই প্রভৃতি জিনিস লিখে রাখত।
- বিজ্ঞান চর্চা
প্রাচীন মিশরের মানুষ গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা তিনটি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবগতি ঘটিয়েছিল। এখানকার মানুষ পাটিগণিত ও জ্যামিতির উদ্ভব ঘটেছিল। এছাড়াও নারীর স্পন্দন বিভিন্ন গাছের ভেষজ গুনাগুন অর্জন করেছিল।
- ধর্মীয় জীবন
মিশরীয় সভ্যতার মানুষরা বহু দেবতার এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি ও জীবজন্তুর পূজা অর্চনা করতো। প্রথম দিকে সূর্য দেবতা রা ছিল তাদের প্রধান দেবতা পরবর্তীকালে দেবতা আমন আসন লাভ করে।