গ্রিক পোলিসের পতনের কারণ লেখো
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীর গ্রিসের ইতিহাস ক্লান্তিকর বৈচিত্রহীন ও হতাশা পূর্ণ। ওই শতকেই গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোলিশ গুলির অবলুপ্তি ঘটিয়ে গ্রিকগন উচু চিন্তা ধারার পরিবর্তন ঘটায় ও নতুন জীবন যাত্রার উদ্ভব ঘটে।
গ্রিক পোলিশ গুলির পতনের কারণ গুলি হল
থিবিস এর উথান
পেলোপনেসীয় যুদ্ধ অব্যাহতর পরে স্পার্টার পতন অনিবার্য হয়। গ্রিসের শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে এর উত্থান রাজনৈতিক ও সামরিক ভারসাম্য কে ধ্বংস করে। এথেন্স ও থিবস তখন থেকেই রাজনৈতিক দ্বন্দে অবতীর্ণ হয়। 311 খ্রিস্ট পূর্বাব্দ, থিবস স্পাটা কে পরাজিত করলে সমগ্র গ্রিস বিস্মিত হয়ে পড়ে, থিবিশের এই উত্থান পতন হয়ে দাঁড়ায়।
মেসিডোনিয়ার উত্থান
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ম্যাসিডন সামরিক শক্তিতে দক্ষতা দেখিয়েছিল, গ্রিক পোলিশ গুলি তা পারেনি। ম্যাসিডনের দ্বিতীয় ফিলিপ যে বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করেছিল সুদক্ষ এবং নতুন যুদ্ধ কৌশল অবহিত গ্রিক পলিশ গুলির সামরিক দক্ষতা সহযোগী না হওয়ায় তারা ম্যাসিডনের সুদক্ষ বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়।
আর্থিক অবনতি
পেলোপনেসীয় যুদ্ধের এথেন্সর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হলে এথেন্স আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও রাজনৈতিক পালাবদল ও যুদ্ধক্ষেত্রে অবনতি দেখা যায়, শিল্প-বাণিজ্যে ভাটা পড়ে ফলে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয়।
শাসক অত্যাচার
পোলিশ গুলির শাসকগণ প্রথমদিকে জনকল্যাণমুখী হলেও পরবর্তীতে তারা অত্যাচারী স্বৈরাচারী ও নিপীড়িত মূলক নীতি নিয়ে সমগ্র ক্ষমতা নিজের হাতে কুক্ষিগত করতে চাইলে জনগণ বিদ্রোহী হয়।
নেতার অভাব
পোলিশ পরিচালনার জন্য যোগ্য নেতৃত্বের অভাব ছিল। পুলিশের প্রধান শাসক সেনাপতি দায়িত্ব পালন করত কিন্তু পেলোপনেসীয় যুদ্ধ শেষে একজন নেতার উদ্ভব ঘটে কিন্তু তারা পরবর্তীকালে স্বদেশী ত্যাগ করে অন্য রাষ্ট্রে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় ফলে পোলিসগুলোর পতন ঘটে।
নৈতিক বিপর্যয়
সবশেষে বলা যায় গ্রিক জাতির নৈতিক প্রথম পোলিসের পতন ঘটায়। নৈতিক পতনের চিরাচরিত সমাজ ও রাজনীতি ফাটল ধরে ন্যায় বিচার সততা বুদ্ধিমত্তা প্রকৃতি ভাটা পড়ে। সক্রেটিসের মত জ্ঞানী ব্যক্তিকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় , তাই কালর গতিতে পোলিস কে আসন্ন বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা ছিল সব দিক থেকেই অসাধ্য।