প্রাচীন ভারতে জনপদের যুগে বিকশিত বিভিন্ন সংগঠনের পরিচয় দাও | Class 11 History | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস

প্রাচীন ভারতে জনপদের যুগে বিকশিত বিভিন্ন সংগঠনের পরিচয় দাও


প্রাচীন ভারতে বিভিন্ন জনপদের বিকাশের পরবর্তীকালে আর্যদের যাযাবর জীবনের সমাপ্তি ঘটে, নির্দিষ্ট জনপদে স্থায়ী বসবাস শুরু করলে পরিবার জীবনে সুখ আসে। এই সময় জনপদের আর্যদের সুশৃংখল জীবনযাত্রার প্রয়োজনে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্ভব হয় এগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল

1 পরিবার

2 বণিক শ্রেণি

 3 শাসক শ্রেণী

  • পরিবার
জনপদে বসবাসকারী বিভিন্ন পরিবারের প্রধান গৃহপতি নামে পরিচিত হতেন। পরিবারের যাবতীয় সম্পত্তির মালিক ছিলেন গৃহপতি। আর্যরা যুদ্ধের সময় শত্রু পক্ষের লোকদের বন্দি করে ক্রীতদাসে পরিণত করতেন । গৃহপতিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের কৃষিজমি ক্রীতদাস সূত্রে চাষ করাতো। উৎপাদিত ফসল শ্রম দানকারী ক্রীতদাসরা শত্রুদের কোনো অধিকার থাকবে না ফসলের যাবতীয় মালিক হতেন গৃহপতি নিজে।

  • বণিক শ্রেণি
 জনপদে কৃষির অগ্রগতির ফলে উদ্বৃত্ত উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে। এর ফলে বণিক শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে, পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা বিপুল সম্পদের অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে ওঠে। জনপদের এই ধনি বণিকের পেশাকে বৈদিক শাস্ত্রে নিন্দার চোখে দেখা হয়েছে, বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থে এক ধনী বণিকের নাম উল্লেখ আছে। বাণিজ্যের ফলে জনপদে নগরজীবনের উদ্ভব হয় এবং বণিকরা এইসব নগরে বসবাস শুরু করে।

  • শাসকগোষ্ঠী
 জনপদের শেষদিকে বৈদিক সমাজে রাজা শাসনের ধারণা গড়ে উঠতে থাকে। আর্যদের কোন একটি উপজাতি গোষ্ঠী গোষ্ঠীর প্রধান কে সেই গোষ্ঠীর প্রধান শাসক বা রাজা বলে মনে করা। উদাহরন হিসাবে কিংবদন্তির রাজা রামচন্দ্র এর কথা বলা যায় রামচন্দ্র নিজেকে রঘুকুল রাজ বলে পরিচিত পরিচয় দিতেন এর অর্থ হলো তিনিি রঘুগোষ্ঠীর শাসক । এখনো বৃহত্তর ভুখন্ডে শাসন করেন এমন কোন শাসকের ধারণা গড়ে ওঠেনিি। রাজা কে গোষ্ঠীর পিতৃতুল্য চরিত্র বলে মনে করা হতো তিনি গোষ্ঠীর সম্পদ রক্ষা করতেন।

Post a Comment

এই তথ্যের ব্যাপারে আরো কিছু জানা থাকলে বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিখতে পারেন ।