*মেহেরগড় সভ্যতা সম্পর্কে লেখ? এই সভ্যতা ধ্বংসের কারণ কি ছিল--?
➡️ ভারতের প্রাচীনতম গ্রামীণ সভ্যতা হল নব্য প্রস্তর যুগের মেহেরগড় সভ্যতা,--
🟢 আবিষ্কার__
ফারসি প্রত্নবিদ জা ফ্রাঁসোয় জারিজ ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন। তিনি রেডিওর কার্বন 14 পরীক্ষা দ্বারা জানা যায় যে ১০০০-২৫০০ খ্রিস্টাব্দ পূর্ব পর্যন্ত এই সভ্যতা টিকে ছিল।
🟢 অবস্থান__.
পাকিস্তানের কয়টা শহর থেকে 150 কিমি দূরত্ব বালুচিস্তানের বাচ্চি জেলার বোলান গিরিপথ মেহেরগড় অবস্থান। প্রায় ৫০০ একর জমি বিশিষ্ট মেহেরগড় সভ্যতা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম গ্রামকেন্দ্রিক কৃষি ও পশুপালন নির্ভর সভ্যতা নিদর্শন।
🟢 প্রান্ত হাতিয়ার__
মেহেরগড় সভ্যতার নব্য প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য পাথরের হাতিয়ার আবিষ্কৃত হয়েছে। কাস্তে, মৃৎপাত্র, শিলনোড়া, যাতা ইত্যাদি পাথরের যন্ত্রপাতি ছাড়াও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও আবিষ্কৃত হয়েছে।
➡️ জীবনযাত্রা---
১। কৃষি ---মেহেরগড় সভ্যতার খনন কার্যের ফলে প্রথম পর্বের ও সবের চাষের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ছোট ছোট ধান নির্মাণকারি এখানকার কৃষি জমিতে জল সেচের ব্যবস্থা করতো। শস্য সংরক্ষণ করার জন্য শস্যাগার তৈরি করা হতো। দ্বিতীয় পর্বে কার্পাস চাষ শুরু হয় সম্ভবত মেহেরগড় বিশ্বের প্রথম কার্পাস উৎপাদন অঞ্চল।
২। পশুপালন --
কৃষির প্রয়োজনে ছাড়াও এখানে পশু পালনের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছিল । গরু ও ছাগলের প্রান্ত হাড় থেকে তারা পালিত হতো তা জানা যায়। মুজ ওয়ালা যাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তখন গৃহপালিত পশু ছিল মানুষের প্রধান উৎস।
৩। তামার ব্যবহার--
প্রথম পর্যায়ের প্রান্তে একটি তামার অবশিষ্ট থেকে অনুমান পাওয়া যায় যে এই সভ্যতা মানুষ তামা গলানোর প্রযুক্তির আরম্ভ করেছিল। তৃতীয় পর্যায়ে তামা গলানো 14 টি মাত্র আবিষ্কার হয়েছিল তামার শিলনোড়ার পাওয়া গেছে।
৪। ধৈর্য বিশ্বাস--
মেহেরগড় সভ্যতার মৃতদেহ সমাধি দেওয়ার বিশিষ্টতা ছিল। মৃতদেহের মাটির মাকে তার সঙ্গে বিভিন্ন হাতিয়ার ও অলংকার জিনিস পাওয়া যেত।
TaG :
মেহেরগড় সভ্যতা কি
মেহেরগড় সভ্যতা সময় কাল
মেহেরগড় সভ্যতা কোন নদীর তীরে অবস্থিত
মেহেরগড় সভ্যতা কোন কোন কৃষি পণ্য উৎপাদিত হতো
মেহেরগড় সভ্যতা mcq